সংক্ষিপ্ত বিবরণঃ
২০০৮ সালের ঈদুল আজহার সময়ে সোনারগাঁওয়ের মতো অজপাড়া গাঁয়ে ভারতের আগ্রার তাজমহলের আদলে নির্মিত ‘বাংলার তাজমহল’ এর ফটক সকলের জন্য খুলে দেওয়া হয়। বিভিন্ন স্থানে বসানো টাইলস, বিদেশি ডায়মন্ড ও পাথর, গম্বুজের ওপরে ব্রোঞ্জের তৈরি চাঁদ-তারা’য় আরো দৃষ্টিনন্দন হয় উঠেছে বাংলার তাজমহল। সেই সঙ্গে চলছে শেষ মুহূর্তের ধোয়া-মোছার কাজ। ফলে এবার ঈদের ছুটিতে তাজমহল দেখতে দেশি-বিদেশি রেকর্ডসংখ্যক দর্শণার্থীদের সমাগম ঘটবে বলে আশা করা হচ্ছে।
চলচ্চিত্র পরিচালক ও প্রযোজক আহসানউল্লা মনি নিজস্ব অর্থে পেরাব গ্রামে নিজ বাড়িতে ১২ বিঘা জমির ওপর তাজমহলটি নির্মাণ করেন। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের রূপগঞ্জের বরাবো কিংবা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহসড়কের বন্দর থানার মদনপুর বাসস্ট্যান্ড নেমে সহজেই যাওয়া যাবে সোনারগাঁওয়ের জামপুর ইউনিয়নের পেরাব গ্রামের তাজমহলে। ঢাকা থেকে এর দূরত্ব মাত্র ৩৩ কিলোমিটার। তাজমহলের স্থান সহজে চেনার জন্য মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে স্থাপন করা হয়েছে নির্দেশনার সাইনবোর্ড।তাছা ড়া মুড়াপাড়ার জমিদার বাড়ি ও রাসেল,জিন্দাপার্ক ঘুড়ে আসতে পাড়েন।
কীভাবে যাবোঃ
গুলিস্থান থেকে বাসে করে মদনপুর বাস স্টপেজে নামবেন। সেখান থেকে সিএনজিযোগে পেরার নামক স্থানে বাংলার তাজমহলে যেতে পারবেন।
যা দেখবেনঃ
বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প জাদুঘর:
নৈসর্গিক সৌন্দর্যের অপরূপ লীলাভূমি প্রাচীন ও আধুনিক স্থাপত্যশৈলীর অনুপম নিদর্শন সোনারগাঁ। এখানে ১৯৭৫ সালে স্থাপিত হয় বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন। পানাম নগরের সর্দার বাড়িতে স্থানান্তরের মাধ্যমে সোনারগাঁ লোকশিল্প জাদুঘর হিসেবে এটি ব্যাপক পরিচিতি লাভ করে। এখানে দর্শনার্থীদের জন্য রয়েছে বেশ কিছু গ্যালারি, রয়েছে কারুপল্লী, লোকজমঞ্চ, লাইব্রেরি ও ডকুমেনটেশন সেন্টার। ফাউন্ডেশন চত্বরে রয়েছে জয়নুলের সংগ্রাম ভাস্কর্য, শিল্পাচার্যের আবক্ষ ভাস্কর্য, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের আদলে আবক্ষ ভাস্কর্য, আরও রয়েছে ফুলগাছ লতাপাতায় সবুজের সমারোহের মাঝে খালের মধ্যে ময়ূরপঙ্খি নৌকায় ওঠার চমৎকার সুযোগ।
লোকনাথ ব্রহ্মচারীর আশ্রম:
সোনারগাঁয়ের বারদীতে রয়েছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সাধক পুরুষ লোকনাথ ব্রহ্মচারীর মন্দির। সেখানে দেশ-বিদেশের হিন্দুরা পুণ্য লাভের আশায় এসে থাকে। এছাড়া রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতিবসুর স্মৃতিবিজড়িত বাড়ি, যেখানে বর্তমান সরকার জ্যোতিবসু স্মৃতি পাঠাগার ও জাদুঘর নির্মাণ করেছে। এই জাদুঘর এখন দর্শনার্থীদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।