সংক্ষিপ্ত বিবরণঃ
শাহী ঈদগাহ নামক স্থানটি নানা কারণে পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয়। এখানেই হাদা মিয়া ও মাদা মিয়া ভ্রাতৃদ্বয়ের নেতৃত্বে ইংরেজ বিরোধী অভ্যুত্থান হয়েছে। ভারতের অহিংস আন্দোলনের নেতা মহাত্মা গান্ধী থেকে শুরু করে কায়দে আযম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, মাওলানা মোহাম্মদ আলী, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী এবং শেরে বাংলা আবুল কাশেম ফজলুল হকের মতো নেতাদের পাদস্পর্শে ধন্য স্থানটি। অতীতে সিলেটের বড় বড় সমাবেশের স্থানও ছিল এটি। আর প্রতি বছর ঈদ জামায়াতে লোক সমাগমের বিষয়টি তো বলাই বাহুল্য।স্থানটি হচ্ছে- সিলেটের শাহী ঈদগাহ। দেশের প্রাচীনতম ঈদগাহ এটি। মনোমুগ্ধকর কারুকার্যময় এই ঈদগাহটি মোগল ফৌজদার ফরহাদ খাঁ নির্মাণ করেন। এখানে এক সাথে প্রায় দেড় লাখ মুসল্লী ঈদের জামাত আদায় করতে পারেন। ঈদগাহর প্রাকৃতিক দৃশ্য খুবই মনোরম। নগরীর শাহী ঈদগাহ এলাকায় এর অবস্থান। তাই ঈদগাহটির এমন নামকরণ হয়েছে। ঈদগাহের উত্তরে শাহী ঈদগাহ মসজিদ, পাশে সুউচ্চ টিলার ওপর বন কর্মকর্তার বাংলো, দক্ষিণে বাংলাদেশ টেলিভিশনের সিলেট কেন্দ্র, পূর্ব দিকে হযরত শাহজালাল (র.) এর অন্যতম সফরসঙ্গী শাহ মিরারজী (র.) এর মাজারের পাশের টিলার ওপর রয়েছে সিলেট আবহাওয়া অফিস।অনুপম কারুকার্যখচিত এই ঈদগাহের মূল ভূ-খণ্ডটি ২২টি সিঁড়ি মাড়িয়ে উপরে উঠতে হয়। এরপরই ১৫টি গম্বুজ সজ্জিত ঈদগাহ। সীমানা প্রাচীরের চারদিকে রয়েছে ছোট বড় ১০টি গেইট। ঈদগাহের সামনে অজুর জন্য বিশাল পুকুর অবস্থিত।তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, ১৭৮২ খ্রীষ্টাব্দে এখানে সৈয়দ মোহাম্মদ হাদী ও সৈয়দ মোহাম্মদ মেহেদী ভ্রাতৃদ্বয়ের নেতৃত্বে ইংরেজ বিরোধী অভ্যূত্থান সংঘটিত হয়। ইংরেজদের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে সৈয়দ ভ্রাতৃদ্বয় শহীদ হন।
প্রতি বছর ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা উপলক্ষে এখানে বিশাল দুটি ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এখানে এক সাথে লক্ষাধিক মুসল্লী ঈদের নামাজ আদায় করতে পারেন।
কিভাবে যাবোঃ
সিলেট শহরের কেন্দ্র বিন্দু হতে মাত্র ২ কি মি দূরে শাহী মসজিদ অবস্থিত। আপনি রিক্সায় করেই পোছাতে পারেন ব আর সুবিধা থাকচেই!।
কোথায় থাকবেনঃ
সিলেটে থাকার জন্য বেশকিছু ভালমানের হোটেল রয়েছে। এসব হোটেলের বেশীরভাগ মাজার রোড, আম্বরখানা, এবং জিন্দাবাজারে অবস্থিত। এসব হোটেলের মধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য হলঃ
১। হোটেল ইস্টার্ন গেইট এন্ড পানাহার রেস্টুরেন্ট।
২। হোটেল গুলশান।
৩। হোটেল দরগা ভিউ।
৪। গ্রিনল্যান্ড হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট।
৫। হোটেল সিটি লিঙ্ক ইন্টারন্যাশনাল।
৬। সুরমা ভ্যালী রেস্ট হাউজ।
৭। হোটেল বাহারাইন রেসিডেনসিয়াল।
৮। হোটেল কুরাইশি রেসিডেন্স।
৯। হোটেল আজমীর।
১০।হোটেল পায়রা।
১১।হোটেল সুপ্রিম।
১২।হোটেল পলাশ।
১৩।হোটেল ওয়েস্টার্ন।
১৪।হোটেল অনুরাগ।
১৫।হোটেল আল-আমীন।
১৬।হোটেল গার্ডেনস ইন।
১৭।হোটেল ফেরদৌস।
১৮।হোটেল পানামা।
১৯।হোটেল গ্রীন।
২০।হোটেল হিলটাউন।
২১।হোটেল রোজভিউ।
২২।হোটেল স্টার প্যাসিফিক।
২৩।হোটেল তাজমহল।
কী খাবেনঃ
এখানে খাওয়ার অনেক সুবিধা আছে।