সংক্ষিপ্ত বিবরণঃ
মেঘলার সৌন্দর্য উপভোগের পর চললাম নীলাচলে। মেঘলার সামনে থেকে সিএনজি যোগে নীলাচলের উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। আমাদের ব্যাগগুলো একেকটা কয়েক কেজি করে হবে। এগুলো এতক্ষন মেঘলায় কাঁধে করে ঘুরে বেড়াতে বেড়াতে কাঁধ ব্যাথা করছিল। গাড়িতে উঠে সেটা রাখতেই শান্তি শান্তি ভাব এসে গেল। নীলাচলে যাবার জন্য পথে সিএনজি টিকেট কাটা লাগে (৩০ টাকা পার্কিং চার্জ)। সেখানে কিছুক্ষণ থামলাম।
পথ এত উঁচু যে কোথাও কোথাও নেমে যেতে হল দু’তিন জন করে। মোটে পাচঁজন আমরা তাতেই এই অবস্থা অবশ্য ব্যাগগুলোর কথা ভুললে চলে না। আর সিএনজি এই পথের জন্য উপযোগী নয়। ইঞ্জিনে এত শক্তি নেই যে টেনে তুলতে পারবে। যেতে যেতে পথের পাশ দিয়ে দেখা নিচের দৃশ্যগুলো চমৎকার লাগল। অজানা আনন্দে ভরে উঠল মন। নীলাচলের সামনে যেতেই টিকিট কাউন্টার সেখান থেকে টিকিট (২৫/-) নিয়ে গেট পেরিয়ে আরেকটু সামনে গেলেই নীলাচল পার্কিং এরিয়া এবং নীলাচলের পাবলিক ভিজিটিং এরিয়া। নেমে পড়লাম মাথায় ঘুরতে লাগল শব্দের ফ্যান্টাসি কাঁধে ঝোলানো ব্যাগ, গায়ে শীতের কাপড়, পায়ে পাহাড়ি ধূলো, মাথার উপর তাজা রোদ, মেঘের আনাগোনা, মৃদু শীতল বাতাস এমন সময় বাস্তবতা এসে গেল সিঁড়ি! বাপরে আবার ওপরে উঠতে হবে। নিচে কিছুক্ষন কাটিয়ে ছোট সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠলাম। নয়নাভিরাম সৌন্দর্য উপভোগের জন্য বেশ কিছু স্পট তৈরী করে রাখা হয়েছে। সেগুলোতে দাঁড়িয়ে ছবি তুললাম। ল্যান্ডস্কেপ ছবির জন্য এরচেয়ে ভাল কোন জায়গা আর হতে পারে না। তাই সুযোগ হাতছাড়া করতে গেলাম না। আমাদের হাতে তো আর ডিএসএলআর নাই তাই যার কাছে যা আছে তাতেই সই।
কীভাবে যাবোঃ
ঢাকা থেকে বান্দরবান যেতে আপনি ৩ টি রুট ব্যবহার করতে পারেন। ঢাকা থেকে ট্রেনে, বাসে বা প্লেনে প্রথমে চট্টগ্রাম তারপর চট্টগ্রাম থেকে সোজা বান্দরবান।
কী খাবেনঃ
বান্দরবান অনেক নামি দামি খাবার হোটেল পাওয়া যায়।
কোথায় থাকবেনঃ
এখানে থাকার জন্য অনেক গুলো রিসোর্ট আছে। গ্রীন পিক রিসোর্ট , নীলাচল এস্কেপ রিসোর্ট, মিলনছড়ি হিলসাইড রিসোর্ট, নীলগিরি হিল রিসোর্ট, সাইরু হিল রিসোর্ট
দেখার মত কি কি যায়গা আছেঃ
বান্দরবান জেলা সদর থেকে ৪৭ কি:মি: দক্ষিণ পূর্বদিকে লামা উপজেলার অংশে সমুদ্রপৃষ্ট থেকে ২২০০ ফুট উপরে বাংলাদেশের নতুন পর্যটন কেন্দ্র নীলগিরির অবস্থান। যাকে বাংলাদেশের দার্জিলিং হিসাবে অবহিত করা যায়। যেখানে পাহাড় আর মেঘের মিতালী চলে দিনরাত। আপনিও ঘুরে আসতে পারেন ঐ মেঘের দেশে। তবে যারা মেঘ ভালোবাসেন তারা জুন–জুলাইতে অর্থাৎ বর্ষাকালে ভ্রমণে গেলে বেশী মজা পাবেন। কারন মেঘ তখন আপনা হতে এসে আপনাকে ধরা দিয়ে যাবে।