সংক্ষিপ্ত বিবরনঃ
বান্দরবান জেলার মোট আয়তন ৪৪৭৯.০৩ বর্গ কিলোমিটার। বান্দরবান জেলা বাংলাদেশের সবচেয়ে কম জনবসতিপূর্ণ জেলা। ২০১১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী বান্দরবান জেলার মোট জনসংখ্যা ৪,০৪,০৯৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২,১১,৬২৮ জন এবং মহিলা ১,৯২,৪৬৫ জন।জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে প্রায় ৯০ জন। মোট জনসংখ্যার ৪৯.৩৩% মুসলিম, ৩.৬২% হিন্দু, ৩৪.৮৮% বৌদ্ধ এবং ১২.১৭% খ্রিস্টান ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বী। এ জেলায় মারমা, চাকমা, বম, মুরং, ত্রিপুরা, খেয়াং, খুমি, লুসাই প্রভৃতি আদিবাসী জনগোষ্ঠীর বসবাস রয়েছে। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাংশে ২১°১১´ থেকে ২২°২২´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯২°০৪´ থেকে ৯২°৪১´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ জুড়ে বান্দরবান জেলার অবস্থান। রাজধানী ঢাকা থেকে এ জেলার দূরত্ব প্রায় ৩২৫ কিলোমিটার এবং চট্টগ্রাম বিভাগীয় সদর থেকে প্রায় ৭৫ কিলোমিটার। এ জেলার পশ্চিমে কক্সবাজার জেলা ও চট্টগ্রাম জেলা, উত্তরে রাঙ্গামাটি জেলা, পূর্বে রাঙ্গামাটি জেলা ও মায়ানমারের চিন প্রদেশ এবং দক্ষিণে ও পশ্চিমে মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশ অবস্থিত।এই অঞ্চল সম্পর্কে সর্বপ্রাচীন তথ্য পাওয়া যায় তুংগো সাম্রাজ্য-এর হাইসাওয়াদি রাজ্যের প্রথম সার্কেল প্রধান বা গভর্নর, তবাং শোয়েথী-এর দিনলিপি থেকে, যিনি ১৫৩১ খ্রিস্টাব্দে নিযুক্ত হন। ব্রিটিশ সরকার পঞ্চম বোমং, কং হ্লা প্রু-কে (১৭২৭-১৮১১) সার্কেল প্রধান বা গভর্নর চিহ্নিত এবং ষষ্ঠ বোমং, সাক থাই প্রুকে স্বীকৃতি প্রদান করে। পরবর্তী কালে, চিটাগং হিল ট্রাক্টস রেগুলাশন ১৯০০-এর মাধ্যমে তথা আইন প্রয়োগ করে এই অঞ্চলের স্বকীয়তার প্রকাশ করা হয়, যা এখনো পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে।
বান্দরবান জেলার নামকরণ নিয়ে একটি কিংবদন্তি রয়েছে। এলাকার বাসিন্দাদের প্রচলিত রূপকথায় আছে, এ এলাকায় একসময় অসংখ্য বানর বাস করত। আর এই বানরগুলো শহরের প্রবেশমুখে ছড়ার পাড়ে পাহাড়ে প্রতিনিয়ত লবণ খেতে আসত।
কিভাবে যাবোঃ
ঢাকা থেকে বান্দরবান যেতে আপনি ৩ টি রুট ব্যবহার করতে পারেন। ঢাকা থেকে ট্রেনে, বাসে বা প্লেনে প্রথমে চট্টগ্রাম তারপর চট্টগ্রাম থেকে সোজা বান্দরবান।
ঢাকা থেকে ট্রেনে বা বাসে প্রথমে চট্টগ্রাম তারপর চট্টগ্রাম থেকে সোজা বান্দরবান; অথবা ডাইরেক্ট বান্দরবান যাওয়া যায়। ঢাকা থেকে বান্দরবান এস আলম, হানিফ, ইউনিক ইত্যাদি বাস ছাড়ে ফকিরাপুল/ কমলাপুর রেল ষ্টেশনের বিপরীত কাউন্টার থেকে।
কি খাবেনঃ
বান্দরবান শহরে খাবার হোটলের মান তেমন ভাল নয়। তবে যে হোটেলে আপনি থাকবেন সে গুলোতে রেস্টুরেন্ট আছে। এছাড়া আরো দুটি মোটামুটি মানের ভাল হোটেল হচ্ছে জেলা সদর বিল্ডিং এর কাছে ‘ফিয়েস্তা’ হোটেল এবং বান্দরবান বাজারের কাছে ‘তাজিংডং’ হোটেল। বান্দরবানে সব হোটেলে খাবারের মানের চেয়ে দামটা বেশি। রান্নায় মসল্লা ব্যবহার এবং হলুদের আধিক্য বেশি।
যা দেখবেনঃ
নীলাচল, মিরিঞ্জা পর্যটন কমপ্লেক্স, নীলগিরি, কোয়ান্টাম, স্বর্ণমন্দির, মেঘলা, শৈল প্রপাত, মিলনছড়ি, চিম্বুক, সাঙ্গু নদী, মাতামুহুরী নদী, তাজিলডং, কেওক্রাডং, জাদিপাই ঝরণা, বগালেক, প্রান্তিক লেক, ঋজুক জলপ্রপাত, নাফাখুম জলপ্রপাত, আলীকদমের আলী সূড়ং এছাড়া বান্দরবানে কয়েকটি ঝিরি রয়েছে। যেমনঃ চিংড়ি ঝিরি, পাতাং ঝিরি।
কোথায় থাকবেন:
বান্দরবনে পর্যটন কর্পোরেশনের একটি হোটেল আছে মেঘলাতে।
হোটেল ফোর স্টার : এটি বান্দরবান বাজারে অবস্থিত।
হোটেল থ্রী স্টার : থ্রী স্টার এবং ফোর ষ্টার হোটেল মালিক একজন,
হোটেল প্লাজা বান্দরবান: এটি বাজারের কাছে অবস্থিত।