সংক্ষিপ্ত বিবরণঃ
রাঙ্গামাটি সদর হতে শুভলং ঝর্ণার দুরত্ব মাত্র ২৫ কিলোমিটার। শুকনো মৌসুমে শুভলং ঝর্নায় খুব সামান্য পানি থাকে। বর্ষা মৌসুমে শুভলং ঝর্ণার জলধারা প্রায় ৩০০ ফুট উঁচু থেকে নিচে আছড়ে পড়ে কাপ্তাইয়ের জলে গিয়ে মেশে।শুভলং ঝর্ণায় বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন কিছু স্থাপনা নির্মাণ করেছে এবং ঝর্ণায় প্রবেশ করতে দর্শনার্থী দের টিকেট কাটতে হয়।
কীভাবে যাবঃ
যদি ঢাকা থেকে আসেন তাহলে সরাসরি চট্টগ্রাম জিইসি মোড় নামবেন। সে খান থেকে যে কোন অক্সিজেন এর গাড়ীতে উঠে চলে যাবেন অক্সিজেন। সে খান থেকে সরাসরি পাহাড়ীকা বাস আছে রাঙ্গামাটির। বেস উঠে যাবেন। সরাসরি আপনাকে রাঙ্গামাটি নামাবে।
রাঙামাটি শহর থেকে ইঞ্জিন বোটে শুভলং যেতে সময় লাগে প্রায় দুই ঘন্টা। রিজার্ভ বাজার, তবলছড়ি বাজার এবং পর্যটন কমপ্লেক্স থেকে ইঞ্জিন বোট ভাড়া পাওয়া যায়। যাওয়া আসার ভাড়া ৭০০- ১৫০০ টাকা। যেতে পারবেন ১০ থেকে ২০ জন। সম্প্রতি চালু হয়েছে এই পথে আধুনিক জলযান কেয়ারী কর্ণফুলী। এছাড়া রিজার্ভ বাজার থেকে সকাল থেকে দুপুরের পর পর্যন্ত লোকাল লঞ্চ ছাড়ে বিভিন্ন গন্তব্যে। সকালে উঠলে ফিরতি পথেও পেয়ে যাবেন কোনো লঞ্চ। ঘুরে আসতে পারেন সেসব কোনো লঞ্চেও। শুভলং যতো না সুন্দর, তার চেয়ে আরো সুন্দর এর যাওয়ার পথটি। দুপাশে উঁচু পাহাড় তার মাঝ থেকে নিরবধি বয়ে চলা কাপ্তাই লেক।
কী খাবেনঃ
এখানে হরেক রকমের খাবার হোটেল আচে।
কোথায় থাকবেনঃ
থাকার জন্য রাঙ্গামাটিতে সরকারী বেসরকারী অনেকগুলো হোটেল ও গেষ্ট হাউজ রয়েছে। তাছাড়া আরো কিছু বোডিং পাওয়া যায় থাকার জন্য। বোডিংগুলোতে খরচ কিছুটা কম তবেথাকার জন্য খুব একটা সুবিধার নয়। নিন্মে কয়েকটি হোটেল এর বর্ননা দেয়া হলোঃ
(১) পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্স।
*১২ টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত রুম রয়েছ। প্রেতিটির ভাড়াঃ ১৭২৫ টাকা
৭টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রনহীন রুম রয়েছে প্রতিটির ভাড়াঃ ৮০৫ টাকা।
(২) হোটেল সুফিয়া।
*২৭ টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত রুম রয়েছ। প্রেতিটির ভাড়াঃ ৯০০ টাকা (একক), ১২৫০ (দ্বৈত)
৩৫টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রনহীন রুম রয়েছে প্রতিটির ভাড়াঃ ৬০০ টাকা
(৩) হোটেল গ্রীন ক্যাসেল।
*৭ টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত রুম রয়েছ। প্রেতিটির ভাড়াঃ ১১৫০ হতে ১৬০০ টাকা পর্যন্ত
১৬টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রনহীন রুম রয়েছে প্রতিটির ভাড়াঃ ৭৫০ হতে ১৫০০ টাকা পর্যন…
এছাড়াও রয়েছে আরো বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য হোটেল যেমন * হোটেল জজ * হোটেল আল মোবা * হোটেল মাউন্টেন ভিউ * হোটেল ডিগনিটি * হোটেল সাফিয়া * হোটেল ড্রিমল্যান্ড ইত্যাদি
ঝর্নাই ঘুরাঘুরির পাশাপাশি উপভোগ করতে পারবেন রাঙ্গামাটির আরো অনেক দর্শনীয় স্থান গুলো, তার মধ্যেঃ কর্ণফুলী হ্রদ ,কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের স্পিলওয়ে ,পর্যটন মোটেল ও ঝুলন্ত সেতু ,উপজাতীয় যাদুঘর , কাপ্তাই জাতীয় উদ্যান ,টুকটুক ইকো ভিলেজ , শ্রদ্ধেয় বনভান্তের জন্ম স্থান মোরঘোনায় স্মৃতি স্তম্ভ ও স্মৃতি মন্দির , রাইংখ্যং পুকুর , বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্সেনায়েক মুন্সী আব্দুর রউফ স্মৃতি ভাস্কর্য ,রাজবন বিহার ,ঐতিহ্যবাহী চাকমা রাজার রাজবাড়ি ,ঝুলন্ত ব্রীজ,মূর্তি ভাস্কর্য, কাপ্তাই নেভী ক্যাম্প.